Mixed Dry Fruits with Honey

Mixed Dry Fruits with Honey

MRP: Tk. 580

UNIT: 1

Category:

Description

Mixed Dry Fruits with Honey ২০টি উন্নত মানের প্রিমিয়াম কোয়ালিটির উপাদান দিয়ে তৈরী। অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর এই খাবার ন্যাচারাল ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে কাজ করে।
১. কাজু বাদামঃ
প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং ভিটামিন রয়েছে কাজু বাদামে। টিউমার প্রতিরোধে কাজু বাদামের ভূমিকা অপরিসীম। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার সেলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। কাজু বাদামের ম্যাগনেসিয়াম ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম। সুস্থ হার্টের জন্য কাজু বাদামের বিকল্প নেই। কাজুতে থাকা ওলিসিক শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। চুল ও ত্বকের জন্যেও খুব উপকারী। শিক্ষার্থীদের মেধাশক্তি এবং বয়স্কদের স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য চিকিৎসকরা কাজুবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন। কাজুবাদামকে ব্রেনের পাওয়ার বুস্টার বলা হয়।
২. কাঠ বাদামঃ কাঠ বাদামের সবথেকে শক্তিশালী গুণ হল, মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে এটি দক্ষ। ভিটামিন ই এবং পটাশিয়াম থাকার ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে কাঠ বাদাম। সকাল বেলা উঠেই দুটো কাঠ বাদাম খেয়ে নিলেই তরতাজা থাকা যায়। এনার্জি লেভেল ঠিক রাখতে রোজ কাঠ বাদাম খাওয়া উচিত।
ভিটামিন ই, এ, বি১, বি৬ থাকার ফলে চুলও ভাল রাখে কাঠ বাদাম। ম্যাগনেশিয়ামের জন্য চুল গোড়া থেকে সুস্থ থাকে ও তাড়াতাড়ি বাড়ে। প্রোটিন যুক্ত এই বাদাম খেলে সুগার লেভেলও ঠিক থাকবে।
৩. পেস্তা বাদামঃ পেস্তা বাদাম ডায়াবেটিসের মতো ভয়ঙ্কর রোগ থেকে রক্ষা করে। আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় ৬০ শতাংশ ফসফরাস পূরণ করে এক কাপ পেস্তা বাদাম। যা ডায়াবেটিস থেকে আমাদের রক্ষা করে। পেস্তায় উপস্থিত ফসফরাস প্রোটিনকে অ্যামিনো অ্যাসিডে ভেঙ্গে দেয় যার ফলে শরীরের গ্লুকোজের শক্তি বৃদ্ধি করে।
৪. চিনা বাদামঃ চিনা বাদামে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, কার্বো-হাইড্রেট ও প্রোটিন আছে। প্রতিদিন একমুঠো চিনা বাদাম খেলে আপনি আপনার শরীরকে অনেক রোগ-বালাই থেকে দূরে রাখতে পারবেন।
৫. আখরোটঃ আখরোটে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি। এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম থাকায় সহজেই এটি হালকা খাবার বা জল খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কম পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট ও অধিক পরিমাণে ফাইবার যুক্ত থাকায় এটি একটি বিশেষ উপকারী খাবার। একটি আখরোটে ৬৫% ফ্যাট এবং ১৫% প্রোটিন থাকে।
৬. খেজুরঃ খেজুরের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে বলা হয় চারটি বা ৩০ গ্রাম পরিমাণ খেজুরে আছে ৯০ ক্যালোরি, এক গ্রাম প্রোটিন, ১৩ মিলি গ্রাম ক্যালসিয়াম, ২.৮ গ্রাম ফাইবার এবং আরও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। খেজুর শক্তির একটি ভালো উৎস। তাই খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। খেজুরে প্রচুর পরিমান আয়রন আছে।
৭. খোরমাঃ খোরমা খেজুরে রয়েছে প্রচুর ক্যালোরি ও খাদ্যগুণ যেমন – ভিটামিন-বি,-সি, আয়রন এবং প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম, অ্যামিনো অ্যাসিড, ভিটামিন-কে। খোরমা খেজুর সেবনে যৌবন বা তারুণ্য ধরে রাখে এবং যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধি ও বীর্যের ঘনত্ব বাড়ায়। পর্যাপ্ত ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ ফল হওয়া দৃষ্টিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রক্তস্বল্পতা ও শরীরের ক্ষয়রোধ করতে খোরমা খেজুরের রয়েছে বিশেষ গুণ।
৮. কিসমিসঃ শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায় কিসমিস।
৯. কালো কিসমিসঃ কালো কিসমিস যৌন অক্ষমতা দূর করে। প্রাচীন কাল থেকেই কামোত্তেজক হিসেবে কিসমিস সুপরিচিত। এতে আরজিনিন নামের একটি অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা লিঙ্গ শিথিলতা বা ইরেক্টাইল ডিসফাংশনে দারুণ কাজ করে। এছাড়াও শুক্রাণুর সচলতা বাড়িয়ে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ায় আরজিনিন। সঙ্গে বাড়ায় যৌন ক্ষমতাও।
১০. কুমড়ো বিচিঃ কুমড়োর বিচিতে আছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় চর্বি, ফাইবার এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সবই হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য উপকারী। এতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা খারাপ রক্তের কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। ম্যাগনেশিয়ামের উপস্থিতি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
১১.তরমুজের বিচিঃ তরমুজের বিচিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এন্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং ভাসোডিলেটিরি রয়েছে, যা হার্ট সুস্থ রাখে। তরমুজের বিচির বিশেষ করে ফোলেট, লৌহ এবং খনিজ অংশ ইমিউন ফাংশন বাড়ায়। তরমুজের বিচির ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স এই ব্যাপারে সাহায্য করে। জিংক পুরুষ প্রজনন সিস্টেমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে, হার্ট সুস্থ রাখতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে তরমুজের বীচি সহায়তা করে।
১২. সূর্যমুখী বিচিঃ সূর্যমুখীর বিচিতে রয়েছে ভিটামিন বি-৬ যা মাথার স্কাল্পে অক্সিজেন সাপ্লাই করে চুলপড়া রোধ করে ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল নতুন চুল জন্মাতে সাহায্য করে। এতে আরও রয়েছে কপার যা চুলের স্বাভাবিক রং ধরে রাখে। সূর্যমুখীর বিচি ফ্যাটি এসিডের ভালো উৎস হওয়ায় ত্বকের এলাস্টিক ধরে রেখে ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখে।
১৩. তিলঃ তিল বলতেই মনে বাজে সেই গান। “আয়নাতে ঐ মুখ দেখবে যখন, কপলের কালো তিল পড়বে চোখে..” তিল মানেই কিন্তু দারুন কিছু! তিল কিন্তু এন্টিএইজিং উপাদান হিসেবে বেশ পরিচিত। যারা অনেকবছর ধরে তিল খেয়ে আসছেন, তাদের দেখলে মনে হয় বয়সের স্টেশন লাপাত্তা হয়ে এক জায়গায় থেমে আছে! পাশাপাশি কর্মক্ষমতা অটুট রাখে তিলের তাল পরিমাণ উপকারিতা।
যার অকালে চুল পাকছে, তাদের চুল পাকানো রুখে দিতে পারে নিয়মিত তিল গ্রহণ। চুল পড়া বন্ধ হয়, চুল ঘন কালো হয়।
এছাড়াও বিভিন্ রোগ-এর পথ্য হিসেবে তিল ব্যবহার করা হয়।
১৪. তিসিঃ ফ্লেক্সসিড বা তিসি সুপারফুড হিসেবে বিবেচিত। পুষ্টিবিদদের মতে, তিসিতে আছে পুষ্টিকর বিভিন্ন উপাদান। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং লিগানান সমৃদ্ধ এই ছোট বীজ হজমশক্তি বাড়ায়, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, টাইপ-২ ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এ ছাড়াও এই বীজ ওজন কমাতে সহায়তা করে।
১৫. আলুবোখারাঃ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে কিংবা হজমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী খাবার এটি। হাড়ের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে এবং ঘনত্ব বাড়াতে সহায়ক আলুবোখারা। এতে আরও থাকে ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ ও ভিটামিন ‘এ’, যা চোখ ও ত্বকের জন্য উপকারী।
১৬. কালোজিরাঃ কালো জিরা মৃত্যু ব্যতিত সকল রোগের ঔষধ। যারা হাঁপানী বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য কালোজিরা অনেক বেশি উপকারী। ডায়াবেটিস রোগ উপশমে বেশ কাজে লাগে কালোজিরা।
কালোজিরা নারী পুরুষ উভয়ের যৌন ক্ষমতা বাড়ায় এবং যৌন সমস্যা প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন কালোজিরা খাবারে সাথে খেলে পুরুষের স্পার্ম সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তির সম্ভাবনা তৈরি করে। যেসব মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ নেই, তাদের মহৌষধ কালিজিরা। অনিয়মিত মাসিকের জন্যেও কালোজিরা উপকারী।
১৭. চেরিঃ চেরি ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম যার পরিমান প্রায় ১৭৫ মিলিগ্রাম। যাদের রক্ত চাপ রয়েছে তারা নিয়মিত চেরি ফল খাওয়ার উপকারিতা পাবেন। চেরি ফল ডায়াবেটিস রোগ রোধ করে। চেরি ফল দেহে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে থাকে। হার্টের রোগ রয়েছে যাদের, তাদের জন্য চেরি ফলের উপকারিতা অনেক। চেরি ফল দেহে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে থাকে। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে চেরি ফল। নিয়মিত চেরি ফল খাওয়ার কারনে দেহে যে মরা সেল বা কোষ থাকে সেটা শক্তিতে পরিনত করে থাকে। চেরি ফলের অন্যতম উপকারি দিক হলো বলিরেখা প্রতিরোধ করে। কোষের ক্ষয় রোধ করে। মেয়েরা নিয়মিত চেরি ফল খাওয়ার কারনে নিজের ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে, নিজেকে বুড়িয়ে হতে দেয় না সহজে। ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারন চর্বি। চর্বি জমা হলে ওজন বাড়তে থাকে। নিয়মিত চেরি ফল খাওয়ার কারনে পেটে চর্বি জমতে দেয় না।
১৮. ওটস এক্সট্রাক্টঃ ওটসে উপস্থিত বিটা-গ্লুকন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা দেয়। ওটসে ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।
১৯. ত্বীন ফলঃ সুমিষ্ট স্বাদের রসালো একটি ফল, যার উল্লেখ রয়েছে পবিত্র কুরআনে। সূরা ত্বীন-এ মহান আল্লাহ এই ফলের নামে শপথ করেছেন। এই বরকতময় ফলের চাহিদা সম্প্রতি ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ত্বীন ফল শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। ত্বীন ফল শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি রোগ নিরাময়েও সহায়তা করে। যাদের দুধ ও দুধের তৈরি খাবারে অ্যালার্জি আছে তাঁরা ক্যালসিয়ামের ঘাটতির পূরণের জন্য নিয়মিত ত্বীন ফল খান।
২০. মধুঃ মধু মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত এক অপূর্ব নেয়ামত। স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং যাবতীয় রোগ নিরাময়ে মধুর গুণ অপরিসীম। রাসূলুল্লাহ (সা.) একে ‘খাইরুদ্দাওয়া’ বা মহৌষধ বলেছেন। আয়ুর্বেদ এবং ইউনানি চিকিৎসা শাস্ত্রেও মধুকে বলা হয় মহৌষধ। এটা যেমন বলকারক, সুস্বাদু ও উত্তম উপাদেয় খাদ্যনির্যাস, তেমনি নিরাময়ের ব্যবস্থাপত্রও। আর তাই তো খাদ্য ও ওষুধ এ উভয়বিধ পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ নির্যাসকে প্রাচীনকাল থেকেই পারিবারিকভাবে ‘পুষ্টিকর ও শক্তিবর্ধক’ পানীয় হিসেবে সব দেশের সব পর্যায়ের মানুষ অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে ব্যবহার করে আসছে।
সবগুলো উপাদানের সঠিক মিশ্রন এবং সম অনুপাতে তৈরি করা হয়েছে Mixed Dry Fruits with Honey.